সিবিআই গ্রেফতার করে হেফাজতে রেখেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল পার্থর মতো দলীয় পদ চলে যাবে তাঁর। কিন্তু দেখা গেল, তৃণমূল কংগ্রেস একেবারেই বিপরীত অবস্থান নিল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে সভাপতির চেয়ার ফাঁকা রেখেই বিশেষ বৈঠক করা হল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক–সহ দলের নেতারা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সাংগঠনিক কাজ চলবে অনুব্রত মণ্ডলের আসন ফাঁকা রেখেই।
তাহলে কী নতুন কেউ সভাপতি হবেন না? এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সাংসদ অসিত মাল, অভিজিৎ সিনহা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী–সহ একাধিক নেতারা। দীর্ঘ এই বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘জেলায় দলের কাজকর্ম যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। ১৫ অগস্ট পতাকা তোলা এবং ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালিত হবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বেহালায় অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষে সওয়াল করেন। তারপর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আজ, সোমবার নেতা–কর্মীদের উদ্যোগেই কেষ্টর বাড়িতে হচ্ছে যজ্ঞ। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মাঠে নেমেছেন। জেলায় জেলায় সভা করা হচ্ছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে। এখনও জেলা সভাপতি রেখে দেওযা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল এমন কিছু করেননি যা দলকে কালিমালিপ্ত করে। তার উপর সিবিআই নানা কথা বললেও বিরাট কোনও অভিযোগ তাঁরা হাতে পাননি। সুতরাং আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে ছেড়ে দিতে হবে কেষ্টকে। তাছাড়া স্বয়ং দলনেত্রী তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই অনুব্রতকে পদে রেখেই সাংগঠনিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।