তার কর্মচারীর কোনও কাজের জন্য ব্যাঙ্কই দায়বদ্ধ। কোনও ভাবে সেই দায় এড়াতে পারে না সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটি। এক মামলার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় আদালত বারাণসী জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক লিমিটেডের পরিষেবাতে ঘাটতি খুঁজে পায়। তার জন্য উচ্চ আদালত এক ব্যাঙ্কের এক গ্রাহককে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাঙ্ক ভুল ভাবে তাঁকে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট তুলতে বাধা দিয়েছে।
বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ জেলা উপভোক্তা ফোরামের রায়কে বহাল রখেছে। ১৯৯৭ সালে উপভোক্তা ফোরাম জাতীয় উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের (এনসিডিআরসি) আদেশকে বাতিল করে ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে। এর আগে এনসিডিআরসি ব্যাঙ্কের পরিষেবাতে কোনও ত্রুটি খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন। শিক্ষকদের আদর্শ আচারণ কেমন হওয়া উচিত, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
ফিক্সড ডিপোজিট তুলতে বাধা
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বারাণসী জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেন। কিন্তু পরে টাকার প্রয়োজন থাকায় সেই ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে যান। কিন্তু ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তাতে অনুমতি দেননি। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন ব্যাঙ্ক তাঁকে ভুল ভাবে টাকা তুলতে আটকেছে।
বিষয়টি যখন জেলা উপভোক্তা ফোরামে পোঁছয়, তখন তথ্য যাচাইয়ের পর ফোরাম ওই ব্যক্তিকে ১৫ শতাংশ হারে সুদ এবং অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ সহ জমা টাকা ফেরত দিতে বলেন।
আরও পড়ুন। বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হওয়া ১৫টি বিপন্ন প্রজাতির শকুনকে উদ্ধার করল বন দফতর
আরও পড়ুন। তদন্ত করা যাবে না, বললেন রাজ্যপাল, পুলিশের কাছে মুখ খুলতে বারণ রাজভবন কর্মীদের
তদন্ত কমিটিও হয়েছিল
শীর্ষ আদালত বলে, 'রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে যে জেলা ফোরাম সন্তুষ্ট হয়েছিল যে আবেদনকারী আসলে ব্যাঙ্কে ১,৬০,০০০ টাকা জমা রেখেছিলেন স্থানীয় আমানত। ব্যাঙ্কের খাতা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। রেকর্ড থেকে জানা যায় যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল যা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করার সুপারিশ করেছিল এবং ব্যাঙ্ক সেই পথ গ্রহণ করেছিল। এটাও সত্য যে স্থায়ী আমানতের রসিদগুলি সময়ে সময়ে পুনর্নবীকরণ করা হয়েছিল। কর্মীদের কৃতকর্মের জন্য ব্যাঙ্ক দায়বদ্ধ।'
গ্রাহককে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ সহ ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ ফেরত দিতে বলেছে।
উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট বেরোলেই ফোনে জানাবে HT বাংলা! এখনই রেজিস্টার করে রাখুন