সবুজ থেকে গেরুয়া আবার গেরুয়া থেকে সবুজ। বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার আগেই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর ‘সহায়তা কেন্দ্র’ ফের উদ্ধার করল তৃণমূল। কাঁথির রূপশ্রী বাস স্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির দফতর ও কাঁথি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ের রং এদিন ফের গেরুয়া থেকে বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের নীল–সাদা রং করে দেন ‘দিদির অনুগামীরা’। অভিযোগ, সেখানে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ও ব্যানারও তাঁরা ছিঁড়ে দিয়েছেন।
কাঁথি–মেছেদা রসুলপুর বাইপাস ব্যবসায়ী সমিতি বা কাঁথির রূপশ্রী বাস স্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির যে দফতর সেটি শনিবারই দখল নেন শুভেন্দুর অনুগামীরা। নেতৃত্বে ছিলেন কণিষ্ক পণ্ডা। ওই দফতরের নীল–সাদা রঙ মুছে গেরুয়া করে দেওয়া হয়। তৃণমূল কার্যালয়ের বোর্ড সরিয়ে সেখানে রাখা হয় ‘শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র’ নামাঙ্কিত বোর্ড। এর পরই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করে শাসকদল তৃণমূল।
এর পর আজ, বৃহস্পতিবার সেই দফতর পুনর্দখল করল তৃণমূল। তবে এই ঘটনা ঘটে শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার আগে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ জানার বক্তব্য, ‘অবৈধভাবে ওই দফতরের দখল নেন কণিষ্ক। ব্যবসায়ীদের অনুমতি ছাড়াই রঙ পাল্টে গেরুয়া করা হয়। অথচ এখানকার ব্যবসায়ীরা কেউই বিজেপি–তে যেতে রাজি নন।’ এই কাজ যদি ফের হয় তবে কাঁথির মানুষ তা বরদাস্ত করবেন না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই ব্লক সভাপতি।
ওদিকে, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত শ্যামল আদকের অফিস হলদিয়া বন্দর শ্রমিক ভবনও এদিন দখল করে তৃণমূল যুব কর্মীরা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই ওই অফিসে হানা দেয় ঘাসফুল শিবির। সেখানে থাকা শুভেন্দুর ছবি সরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামল আদক হলদিয়া থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।