বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগেই রাজ্যজুড়ে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা। এটা অবশ্য কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর জেলা। সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার বেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। এটা হিজুলি গ্রামের ঘটনা। তাই এটা রাজনৈতিক খুন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামে ঘাটপাড়া গোষ্ঠী এবং মোড়লপাড়া গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের কারণ হল এলাকা দখলে রাখা। বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজুলী গ্রাম দখল নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে আগেও উত্তপ্ত হয়ে উঠত গ্রাম। এবারও ফের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলডাঙা থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন রশিদ শেখ। পথে তাঁকে আটকে কোপানো হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় রশিদকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই খুন বলে মনে হলেও এই ঘটনায় রাজনীতির যোগের কথাও উঠে এসেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। নিহতের আত্মীয়া নাসিমা বিবির অভিযোগ, হামলাকারীরা কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অপূর্ব সরকারের অভিযোগ, ‘নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদেরকে খুন করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সঠিক তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলব।’
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরে এই খুন। নির্বাচন আগে কে কার এলাকা দখলে রাখবে তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে আছে। তার জেরেই এই খুন। এই খুনের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা যুক্ত নয়।