সন্দেশখালিতে ২,০০০ টাকার বিনিময়ে মহিলাদের সম্মান বিক্রি করেছে বিজেপি। এমনই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিকে নিয়ে যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে, সেটার প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক দাবি করেন, বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গকে ছোট করার চেষ্টা করছে, সেটা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল। সেইসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক দাবি করেছেন, একটি ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) নিয়ে সুকান্ত মজুমদার একরকম কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারী অন্যরকম কথা বলছেন আবার। যে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দুপুরে যা বললেন, বিকেলেই সেই বয়ান থেকে সরে এলেন। মিথ্যা বলার ক্ষেত্রেও বিজেপির নিদেনপক্ষে ‘একতা’ থাকা প্রয়োজন বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। যদিও শুভেন্দুদের দাবি, ভাইরাল ভিডিয়োটি বিকৃত করা হয়েছে। আর সেই ভিডিয়োটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর।
কোন প্রেক্ষিতে সেই ২,০০০ টাকার কথা বলেছেন অভিষেক?
'উইলিয়ামস' নামে একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেশখালি নিয়ে যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) আপলোড করা হয়েছে, তাতে স্যান্ডো গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে সন্দেশখালির মহিলাদের টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর সেই টাকাটা শুভেন্দু পাঠিয়েছিলেন। যে ব্যক্তি আদতে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলে দাবি করা হয়েছে।
সাদা গেঞ্জি পরা ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি শুনেছিলাম যে ২,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’ সেটার জবাবে এক ব্যক্তি বলতে শোনা গিয়েছে, 'এত কম?' তারইমধ্যে স্যান্ডো গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘রেখাকেও দেওয়া হয়েছিল, তখন ও প্রার্থী হয়নি। ও আরও একজনকে টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। তাকেও দেওয়া হয়েছিল।’
অভিষেক কী বললেন?
১) অভিষেক: সন্দেশখালির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই দলীয়ভাবে তৃণমূল রাজ্য সরকারকে আর্জি জানাবে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি আদালতের নজরে আনা হোক।
২) অভিষেক: আমি তিনবার ভিডিয়োটা দেখেছি। কোনও রাজনৈতিক দল যে এতটা নীচে নেমে যেতে পারে, কোনওদিন ভাবতেও পারিনি। কোনও দল যে এতটা নিকৃষ্ট হতে পারে, সেটাও ভাবতে পারিনি। ভোটে জিততে বাংলাকে ছোট করল বিজেপি।