আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম তিনি মেদিনীপুরে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মেদিনীপুরে একের পর এক বেআইনি কাজের অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা এবং পুলিশ প্রশাসন সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খাওয়ার ভয়ে রয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন বিভিন্ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।
আজ বিকেলে মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় মাওবাদী প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করছে নানা মহল। সম্প্রতি শালবনিতে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খাওয়ার ভয় পাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে, গড়বেতায় মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি সম্প্রতি মেদিনীপুরের চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ বেড়েছে। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিতে পারেন বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে গড়বেতার গাছ পাচার কাণ্ড উঠে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরে দেখা যায় ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান গ্রেফতার হয়। প্রায় তিন হাজারের বেশি কাজ কাটা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
এছাড়াও জেলা পরিষদে বেহিসেবি খরচ করার অভিযোগ উঠেছে। অনেকক্ষেত্রেই কাজ না হওয়ার ফলে রাজ্য থেকে আসা টাকা ফিরে যাচ্ছে। সময়ে কাজ না হওয়ায় জেলা পরিষদ এবং তৃণমূলে সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। অনেকে মনে করছেন এবার জেলা সভাধিপতি নতুন মুখ আসতে পারে। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে।’