দুর্গাপুজোর সময় কি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং হয়ে গিয়েছে? তাহলে এবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এসে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পুজোয় ট্রেনের টিকিট বুকিং শুরু হয়ে যাবে। যে মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করে আছেন প্রচুর মানুষ। প্রত্যেকেরই একটা লক্ষ্য, সকলের আগে টিকিট কেটে নিতে হবে, যাতে একবারেই ‘কনফার্ম’ হয়ে যায় টিকিট। একবার ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ নাম চলে গেলেই বাড়তি টেনশন শুরু হয়ে যাবে। টিকিট কনফার্ম হবে তো? সকলের টিকিট কনফার্ম হবে না? যথারীতি কেউই সেই টেনশন চান না। প্রত্যেকেই ঝট করে টিকিট কেটে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু করতে চান।
তারইমধ্যে পুজোর ট্রেনের টিকিট বুকিং নিয়ে যাত্রীদের বড় সুখবর দিল পূর্ব রেল। সোমবার পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজোর সময় ট্রেনে যাওয়ার জন্য টিকিটের অগ্রিম বুকিংয়ের বাড়তি চাপ থাকবে। প্রচুর মানুষ টিকিট কিনতে চাইবেন। তাই আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত যতগুলি রবিবার পড়েছে, সেই রবিবার সকালের শিফটে পূর্ব রেলের ৩৪টি ‘প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম’ (পিআরএস) খোলা থাকবে। অর্থাৎ ২৫ জুন, ২ জুলাই, ৯ জুলাই এবং ১৬ জুলাই সকাল-সকাল গিয়ে পুজোর ট্রেনে টিকিট কেটে আসতে পারবেন।
শিয়ালদা ডিভিশনে ‘প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম’-র তালিকা
বিধাননগর রোড, শিয়ালদা, কলকাতা টার্মিনাল, দমদম জংশন, সোদপুর, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, কাঁকিনাড়া, নৈহাটি জংশন, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, বালিগঞ্জ, সোনারপুর,ক্যানিং, বারুইপুর জংশন, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার, মাঝেরহাট, টালিগঞ্জ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি, বারাসত, হাবড়া, ঠাকুননগর, বনগাঁ জংশন, বসিরহাট, হাসনাবাদ, বেথুয়াডহরি, দেবগ্রাম, বেলডাঙা, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ এবং লালগোলা।
কবে থেকে পুজো সময়ের টিকিট কাটা যাবে?
ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত তারিখের চার মাসে আগে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। সেইমতো এবার পুজোর ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে। অনলাইনে এবং টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন।
আরও পড়ুন: WB Govt Holiday List 2023: পুজোয় লম্বা ছুটি, ২০২৩ সালে অফিসে যেতে হবে না অনেকদিন - দেখুন পুরো তালিকা
২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট
১) মহাষষ্ঠী: ২০ অক্টোবর।
২) মহাসপ্তমী: ২১ অক্টোবর।
৩) মহাষ্টমী: ২২ অক্টোবর।
৪) মহানবমী: ২৩ অক্টোবর।
৫) বিজয়া দশমী: ২৪ অক্টোবর।