কোচবিহারে ‘বহিরাগতদের’ দুই বিরিয়ানি দোকান বন্ধ করলেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর দাবি, এই বিরিয়ানি খেলে পুরুষত্ব নষ্ট করে। কোচবিহার শহরের শনি মন্দির এলাকার একটি বিরিয়ানির দোকানে তদারকি করতে গিয়ে জোর করে একটি দোকান বন্ধ করান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। অভিযোগ, সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে সেই দোকান। পরে আরও এক বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পরে সেই দোকান দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই দোকানগুলি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি ওঠে ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব। অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্য থেকে লোকজন এসে ওই এলাকায় দোকান খুলছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন, বিগত কয়েকদিন ধরেই এই দুটি বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এসেছিল। তাই তিনি নিজেই সেই ওই দুটি দোকানে পরিদর্শনে যান। দুটি দোকানের কোনওটিরই লাইসেন্স নেই। সেই কারণেই ওই দুটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহারের পুরপ্রধান বলেন, ‘ফুড লাইসেন্স থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স কিছুই নেই এই দোকানগুলির। এসব দোকানের বিভিন্ন ধরনের মশলা-যুক্ত বিরিয়ানি খেয়ে খেয়ে পুরুষরা পুরুষত্ব হারাচ্ছেন। তাই দোকানদুটি বন্ধ করে দেওয়া হল।’
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি এই দোকানে বিরিয়ানি তৈরিতে যে মশলা ব্যবহার করা হয় তা পুরুষের পুরুষত্ব নষ্ট করে। বাইরে থেকে কর্মচারী নিয়ে আসা হচ্ছে। কয়েকদিন পরপর কর্মী বদল হয়ে যায়। এই কর্মচারীরা চোর না ডাকাত তা জানা নেই। ফুটপাথ দখল করে বিনা ট্রেড লাইসেন্সে দোকান চলছে। ফুটপাথে রান্না করা হচ্ছে।’