রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারই মধ্যে বিজেপি কর্মীদের গ্রামছাড়া করার নিদান দিলেন বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের কৃষি কর্মদক্ষ রবিউল খান। দলের কর্মীদের তিনি বার্তা দিয়েছেন, বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করতে হবে। আর তৃণমূল নেতার এই নিদানের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গতকাল দুবরাজপুরে কর্মীসভায় তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আপনাদের কাছে বিজেপি আসবে। ওরা হিন্দু-মুসলিম করে কি আর উন্নয়ন আনতে পারবে! আপনাদের কাছে আমি অনুরোধ করছি যদি কোনও বিজেপি কর্মী বা নেতা আসে তাহলে তাদের গ্রামছাড়া করুন। তাহলে তাতে এলাকায় শান্তি বজায় থাকবে।’ গতকাল বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকায় বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সম্পাদক ও দুবরাজপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান এবং রবিউল। অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের সামনেই এই বক্তব্য শোনা যায় রবিউলের মুখে।
তৃণমূল নেতার এরকম বক্তব্যের ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁর এই বক্তব্যকে হুমকি বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন আসলেই তৃণমূল এরকম করে। সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আবার তারা এরকম করছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন, ‘শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেকটি নির্বাচনের সময় এরকম কাজ করে থাকে। তবে যতই এরকম কাজ করুক না কেন আমরা লড়ব। মানুষ আমাদের পাশে আছে।’