পাহাড় নিয়ে আগেই হুঙ্কার ছাড়তে দেখা গিয়েছিল বিজেপির নেতা–মন্ত্রীদের। তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় তখন চেপে গিয়েছিল বিষয়টি। এবার পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আগামী ১২ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর সে কথা প্রকাশ্যে জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। বৈঠকের উদ্দেশ্য পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান। অথচ এই বৈঠকে বাদ পড়েছেন বিমল গুরুং–অনীত থাপা–বিনয় তামাংরা। তবে রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে।
পাহাড়ের নেতাদের বাদ দিয়ে স্থায়ী সমাধান কী করে সম্ভব? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা অবশ্য বলেন, ‘গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ সেই বৈঠকে পাহাড় ও তরাই ডুয়ার্সের প্রতিনিধিও থাকবেন। আর যাদের নজর জিটিএ’র চেয়ারের দিকে রয়েছে তাদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’ সুতরাং শুরুতেই সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে রাজ্য সরকার অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোন পথে হাঁটবে তা এখনও জানা যায়নি। কারণ বিমল গুরংরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছে। সেখানে পাহাড়ের নেতাদের বাদ রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ছাড়াও পাহাড়ের ১১টি জনজাতির মান্যতা নিয়েও আলোচনা হবে। বৈঠকে আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রীও থাকবেন। সুতরাং এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা উন্নয়ন সেখানে তুলে ধরা হবে।
এখন রাজ্যজুড়ে উৎসবে মেতেছে মানুষ। দুর্গাপুজো নিয়ে মানুষ ব্যস্ত। এবার পুজোয় তবু করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সুতরাং তার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক কতটা সঙ্গত তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এখন বৈঠক ডাকায় কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘সারা বছর পাহাড় নিয়ে কোনও কাজ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। পাহাড়ের খোঁজ খবরও রাখার প্রয়োজন মনে করেনি। এখন হঠাৎ পুজোর মধ্যে বৈঠক ডাকল। যার কোনও অর্থ খুঁজে পাচ্ছি না।’