বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আলুর চপ খেয়েই জনসংযোগ করলেন অভিষেক, দোকানদারের কোন কথায় মজলেন?‌

আলুর চপ খেয়েই জনসংযোগ করলেন অভিষেক, দোকানদারের কোন কথায় মজলেন?‌

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক নিজেও তেলেভাজা খেতে ভালবাসেন। তাই জনসংযোগ নিজেই এমন ব্যবস্থা করলেন। বাঁকুড়ার গোবিন্দপুরে তেলেভাজা আর চা নিয়েই সন্ধ্যা থেকে রাত কাটালেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। খাতরা থেকে ফেরার পথে তিনি নেমে যান গণেশ ঘোষের চপের দোকানে। সেখানে ডিমের চপের স্বাদ নেন। কথা বলেন দোকান ও উপস্থিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে।

বিরোধীরা যতই রাজ্যে চপ শিল্প হচ্ছে বলে কটাক্ষ করুন জনসংযোগ যাত্রায় আলুর চপ খেয়েই কিন্তু মানুষের মন জয় করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিমের ডেভিল আর মাটির ভাঁড়ে চায়ের আড্ডায় এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এভাবে নেতাকে পেয়ে খুশি গ্রামবাসী থেকে দোকানদার। মঙ্গলবার রাতে খাতড়ায় রোড শো’র শেষে গোবিন্দপুর গ্রামে হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দেন অভিষেক। তারপর নেমে একটি তেলেভাজার দোকানে ঢুকে আলুর চপ খান।

এদিকে এভাবে জনসংযোগ সারতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে এখানে এসে অভিষেক জানতে চান, আপনাদের কি কোনও সমস্যা রয়েছে?‌ জবাবে রাস্তা খারাপের অভিযোগ করেছেন গ্রামের মানুষ। কোন রাস্তা, কতটা খারাপ তা খাতায় লিখে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর পাশের একটি চায়ের দোকানে বসেও আড্ডা দেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। সমস্যা, অভাব, অভিযোগ শুনেছেন মন দিয়ে। বাচ্চাদের লজেন্স উপহার দিয়ে ওই দোকানে বৈঠকী আড্ডায় মিষ্টিও খাইয়েছেন গ্রামবাসীদের। একইসঙ্গে নয়াদিল্লির বঞ্চনার কথাও গ্রামবাসীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। যা শুনে সবাই বলে ওঠেন, ‘‌দাদা আমরা আপনার পাশে আছি’‌।

আর কী দেখা গেল?‌ গণেশের চপের সঙ্গে তিনি নিয়ে নেন রবির চা। তখন জেলায় বৃষ্টির আবহ তৈরি হয়েছে। অভিষেক নিজেও তেলেভাজা খেতে ভালবাসেন। তাই জনসংযোগ নিজেই এমন ব্যবস্থা করলেন। বাঁকুড়ার গোবিন্দপুরে তেলেভাজা আর চা নিয়েই সন্ধ্যা থেকে রাত কাটালেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। খাতরা থেকে ফেরার পথে তিনি নেমে যান গণেশ ঘোষের চপের দোকানে। সেখানে ডিমের চপের স্বাদ নেন। কথা বলেন দোকান ও উপস্থিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‌আমি এসেছি আপনাদের সমস্যার কথা জানতে। আমাকে জানান আপনাদের সমস্যা। কথা দিচ্ছি চেষ্টা করব সমাধান করার।’‌

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ অভিষেকের প্রশ্নে আশ্বস্ত হয়ে দোকানদার থেকে সাধারণ গ্রামবাসী তুলে ধরলেন সমস্যার কথা। তাঁরা বলেন, ‘‌রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যা আছে। এখানে আশেপাশে চারটি গ্রাম আছে। রাস্তার অবস্থা সব জায়গায় ভাল নয়। তবে কিছু জায়গায় অবশ্যই ভাল।’‌ তখন অভিষেক জিজ্ঞাসা করেন, সবাই সরকারের সামাজিক প্রকল্প পাচ্ছেন তো?‌ সমস্বরে জবাব আসে, ‘‌হ্যাঁ, পাচ্ছি।’‌ তারপর অভিষেক আশ্বাস দেন, ‘‌যেটুকু সমস্যা আছে সেটা প্রশাসনকে বলে করিয়ে দেব। আপনারা আমাদের লড়াইয়ে পাশে থাকবেন তো?‌’‌ দোকানদার থেকে গ্রামবাসী সকলেই বলে ওঠেন, ‘‌দাদা আমরা আপনার পাশে আছি। আপনার লড়াইয়ের সঙ্গী হয়েই থাকব।’‌ এই কথাতেই মজলেন অভিষেক।

বন্ধ করুন