কয়েকদিন আগে চন্দননগরের ব্যস্ত রাস্তায় ধস নেমেছিল। তাতে এলাকার মানুষ বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারণ এই বুঝি গোটা চন্দননগর মাটির তলায় ঢুকে যাবে। এই পরিস্থিতিতে পুরনিগমের পক্ষ থেকে রাস্তা মেরামত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই ধসেরই মেরামত চলছিল। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠল। কারণ সেখানে দেখা মিলল সুড়ঙ্গের।
ঠিক কী ঘটেছে চন্দননগরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় ধস নেমেছিল। আর তা মেরামত করতে গিয়ে সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে। এই সুরঙ্গ আসলে ফরাসি আমলে তৈরি। মাটির নীচ দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারই একটা অংশে ধস নেমেছিল। যা সুরঙ্গ হিসাবে দেখা দিয়েছে। এই সুরঙ্গ এখন ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে।
সুরঙ্গের উৎস সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? ইতিহাস থেকে জানা যাচ্ছে, ১৭৬৩–১৭৬৬ সালে চন্দননগর শহরজুড়ে নর্দমা তৈরি করা হয়। এই নর্দমাগুলি চন্দননগরের অন্যতম স্থাপত্য। ইতিহাসবিদদের বক্তব্য, মাটির উপরে যে স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, মাটির নীচের স্থাপত্যগুলিকেও যেন আধুনিক পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এই নর্দমায় ধস নেমেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার চন্দননগর জোড়াঘাট অঞ্চল এবং কানাইলালের মূর্তির সামনে ধস নেমেছিল। একটি বালি বোঝাই লরি যেতেই ওই এলাকায় ধস নামে। তখন কানাইলালের মূর্তির সামনের রাস্তার উপর একটি ছোট গর্ত দেখা যায়। পরে গর্ত বড় হয়ে পাঁচ ফুটের আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুরসভায়। আপাতত ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।