গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির নিজের দলেরই ব্লক সভাপতি ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে।সব মিলিয়ে এবারে ভোটে গোঘাটে তৃণমূল ভোটে হেরে যাওয়ার পর পারস্পরিক দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। ফলে প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশ মতোই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
গোঘাট ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল অভিযোগ করেন, গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। একটা সময় সিপিএমের লোকেদের কাছ থেকে গালমন্দ শুনতে হত। এখন তো নিজের দলের লোকেদের হাতেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি জানান, গোঘাটে ৪ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। একটা টাকাও কমিশন নিইনি। দল কমিশন নিয়েছে। দল কাজে লাগাচ্ছে।২০১৬ সালে মানস মজুমদারকে ভোটে জিতিয়েছিলাম। এবারে ব্লক সভাপতি নারায়ণ পাঁজা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। যাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সবাই সেই দায়িত্ব পালন করেছে। তারপরও পঞ্চায়েত প্রধানরা, অঞ্চল সভাপতিরা নিজেদের বুথে হেরেছেন। তাহলে শুধুমাত্র আমার ওপরই রাগ কেন।
এদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণ পাঁজা অবশ্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ব্লক সভাপতি জানান,‘উনি দল করেন কি না জানি না। তবে গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন।তাই হয়ত তাঁরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। উনি তো গরিব মানুষের পাট্টার জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। দল ইতিমধ্যে ওনার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে।’
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে যা করার করব। উল্লেখ্য, এবারে গোঘাটে তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদারকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ তারকা।