ভাগ্নিকে অপহরণ করে ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল মামা। শুধু তাই নয়, মামার লালসার শিকার হতে হয়েছে নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে। ভাগ্নির উপর নারকীয় অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন বন্ধ ঘরের মধ্যে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত মামাকে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত।
আদালতের আরও নির্দেশ, দোষী মামাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও নির্যাতিতাকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মামা। বারাসতের একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে, দিনের পর দিন ভাগ্নিকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।
২০১৯ সালের ২৮ অগস্ট চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছিল বারুইপুরে। অভিযোগ উঠেছে, সোনারপুর এলাকা থেকে প্রথমে নাবালিকা ভাগ্নিকে অপহরণ করে তার মামা।
মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ওইদিনই সোনারপুর থানায় পৌঁছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তের খোঁজ চলায় পুলিশ। তারপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসতের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন কয়েকটা নোটস জেরক্স করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় নির্যাতিতা কিশোরী। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরত আসেনি। এই ঘটনার পরই পরিবারের তরফ থেকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিছুদিনের মধ্যেই জানা যায়, ৬১ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর মামা এই অপহরণ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে জেরা করে বারাসতের ওই ভাড়া বাড়িত হানা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর যৌন উদ্দীপক ওষুধ-পত্র ছাড়াও ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কন্ডোম বাজেয়াপ্ত করা হয়।