চাষ আবাদের কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে কোনও কাজ না মেলায় অবসাদে আত্মহত্যা করলেন মালদা জেলার এক ভূমিহীন দিনমজুর। রবিবার ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ের মৃতদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর স্ত্রী ও পড়শিরা পুলিশকে জানান যে অবসাদে ভুগছিলেন এই প্রৌঢ়।
করোনাভাইরাসে ফলে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে এরকম প্রথম ঘটনা হল রাজ্যে। আত্মঘাতী ব্যক্তির স্ত্রী বলেন যে তাঁর স্বামীর হার্টের সমস্যা ছিল, কিন্তু ওষুধ কেনার টাকা ছিল না। তাদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। বিভিন্ন লোকের জন্য কাজ করতেন এই দিনমজুর কিন্তু গত দুই সপ্তাহ তাঁর কোনও কাজ জোটে নি।
স্থানীয় তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পঞ্চায়েতের সদস্য নজরুল ইসলাম জানান যে পরীবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। অভাবের ফলেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রৌঢ়। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপংকর রাম বলেন যে তারা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। ভদ্রলোক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তারা শুনেছেন, বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন অফিসার সমীরন ভট্টাচার্য বলেন যে পরিবারটি খেতে পাচ্ছিল না এমন নয়। তারা সরকার থেকে রেশন পাচ্ছিল, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। তবে সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক, তাই সরকারের তরফ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে মৃতের পরিবারকে।
মৃত মজুরের এক আত্মীয় বলেন যে সোমবার তৃণমূলের কিছু লোকজন খাওয়ার ও টাকা দিয়ে গেল। বিডিও এসে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। আগে যদি এগুলো পাওয়া যেত, তাহলে হয়তো একটা মানুষকে মরতে হত না।