শেষপর্যন্ত কি জট কাটতে চলেছে? উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নয়া বিজ্ঞপ্তির পরে তেমনই আশা দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া ১,১০০ জন প্রার্থীকে নথি আপলোড করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১,১০০ জন (১,০৯৮+২) চাকরিপ্রার্থীকে নথি আপলোডের জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ 1st SLST, 2016 (Upper-Primary Level Except Physical Education and Work Education) বা শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষক বাদে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১,১০০ জন প্রার্থীকে নথি আপলোড করতে হবে। যে প্রক্রিয়া আজ থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত।
কোন কোন প্রার্থীকে অনলাইনে আপলোড করতে হবে?
কীভাবে অনলাইনে নথি আপলোড করতে হবে?
১) স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com-তে ক্লিক করুন।
২) 'Information in c/w 1st SLST, 2016 (Upper-Primary Level Except Physical Education and Work Education)'-তে থাকা 'Click here for uploading documents in c/w 1st SLST, 2016 (Upper-Primary Level Except Physical Education and Work Education)'-তে ক্লিক করুন।
৩) নয়া একটি পেজ খুলে যাবে। সেখানে ‘Uploading of documents in c/w 1st SLST, 2016 (Upper-Primary Level Except Physical Education and Work Education)’ আছে। পাশে ‘Click here to login’ আছে। তাতে ক্লিক করতে হবে।
৪) অ্যাপ্লিকেশন আইডি, জন্মতারিখ এবং সিকিউরিটি কোড দিয়ে লগইন করে নথি আপলোড করতে হবে।
(Upper Primary Teachers' Recruitment - নথি আপলোডের ডিরেক্ট লিঙ্ক - ক্লিক করুন এখানে)
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত বছর জুলাইয়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের উপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তালিকা প্রকাশের কোনও অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কারও অভিযোগ থাকলে দু'সপ্তাহের মধ্যে তা কমিশনের কাছে জানাতে হবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন সচিব পর্যায়ের আধিকারিক। অভিযোগ পাওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেইমতো কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। পুজোর মধ্যেই নিয়োগের কথাও বলা হচ্ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তারপরও আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া।