সম্প্রতি রাজ্যে বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় হাতি মানুষের সংঘাত বারবার সামনে এসেছে। খাবারের সন্ধানে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। আর হাতির তাণ্ডবে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। এই অবস্থায় জঙ্গলে হাতির জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রয়েছে কিনা তা জানার জন্য জঙ্গলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে বনদফতর। জঙ্গলের ভিতরে হাতির খাদ্য কী পরিমাণে মজুত রয়েছে এবং জঙ্গল ঘেঁষা এলাকাগুলিতে হাতির খাবারের সংস্থান কেমন? সেসব এই সমীক্ষা থেকে জানবে বনদফতর। এই ধরনের সমীক্ষা এই প্রথম বলে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং বাগডোগরা জঙ্গল এলাকায় এই সমীক্ষা চালানো হবে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় সমীক্ষাটি চালানো হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জঙ্গল থেকে বারবার যেভাবে হাতির দল লোকালয়ে চলে আসছে তা মূলত খাবারের সন্ধানের জন্যই। মূলত কলাগাছ, পছন্দের কিছু ঘাস এবং বিভিন্ন ধরনের গাছের সংকটের কারণে হাতি লোকালয়ে চলে আসছে বলে অনুমান। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, সমীক্ষাটি শুরু হয়েছে গত তিন দিন আগে। আমরা দেখতে চাইছি জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় এবং জঙ্গলে কতটা খাবারের ভাণ্ডার মজুদ রয়েছে! সেক্ষেত্রে যদি খাদ্য সংকট দেখা দেয় তাহলে সংশ্লিষ্ট জমিতে চাষের ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে খাবারের সন্ধান থাকায় হাতি লোকালয়ে ঢুকবে না বলেই মনে করছে বনদফতর।
গত মাসে মাধ্যমিকের প্রথম দিন বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিল অর্জুন দাস নামে এক পরীক্ষার্থী। সেই সময় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় হামলা চালায় দলছুট একটি দাঁতাল। হামলায় গুরুতর জখম হয় অর্জুন। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অর্জুনের। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় ছিলেন শিলিগুড়িতে। তাঁর কানে এসেও পৌঁছয় এই খবর। ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বনদফতরকে। সেই বৈকুণ্ঠপুরে অন্য একটি সমীক্ষার কাজ চলছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup