পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পথ হল গোর্খাল্যান্ড। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের এই দাবিকে যারা সমর্থন জানাবে, আমরা তাদেরই পাশে থাকব— কিছুদিন আগেই কলকাতায় এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেন বিমল গুরুং। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের প্রতি তাঁর সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবছেন? জলপাইগুড়ির জনসভায় বিজেপি–কে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিমল গুরুংকে ওরা ৬ বছর ধরে বলে এসেছে গোর্খাল্যান্ড দিয়ে দেব। যেই ভোট আসে একটা করে গোর্খাল্যান্ড দেয়।’ জনতার কাছে মমতার প্রশ্ন, ‘এ পর্যন্ত কটা গোর্খাল্যান্ড হয়েছে?’ এ কথার সূত্র ধরেই মমতা বলেন, ‘২০১৪–য় বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলেছে আর একটা আসন জিতেছে। ২০১৮–য় বলেছে আর একটা আসন জিতেছে। আমরা কিন্তু জিতিনি। কারণ আমরা গোর্খাল্যান্ডের কথা কখনও বলিনি। তাতে আমরা কিছু যায় আসে না।’
একইসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে পারলে শুধু আমরাই করতে পারব। বিজেপি করতে পারবে না। ওদের দ্বারা সম্ভব নয়।’ একইসঙ্গে এদিন বিজেপি–র বিরুদ্ধে দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্সের মধ্যে সঙ্ঘর্ষ লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দার্জিলিং দার্জিলিংয়ের মতো ভাল থাকবে। তরাই, ডুয়ার্সও নিজেদের মতো ভাল থাকবে। একদিকে পাহাড়, আর একদিকে জঙ্গল। দুটো আমাদের গর্ব।’
এদিকে, রবিবারই শিলিগুড়ির সুকনায় বিনয়–অনীতপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জনসভা থেকে পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিন অপূরণ চাহিদার কথা জানান বিনয় তামাং। তাঁর দাবি, ‘ভোটের আগেই দার্জিলিং ও ডুয়ার্সকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। পাহাড় এবং ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের দফায় দফায় উন্নয়নের যে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।’