এনআইএ গোয়ান্দাদের জালে ধরা পড়েছে আল কায়দার বাংলা ও কেরল মডিউল। কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ছাউনি থেকে ৩ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছে আরও ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গি। এ নিয়েই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন বিরোধী দল বিজেপি।
একই সুরে অভিযোগ জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। আর এর কারণ শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি জঙ্গি কার্যকলাপ পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে চলছে। সারা দেশ ঠান্ডা। কোথাও জঙ্গি কার্যকলাপ নেই, মৌলবাদী গতিবিধি নেই। কাশ্মীরের কিছু এলাকা এখনও অশান্ত রয়েছে। সেটাও ঠান্ডা হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলা আর কেরল ঠান্ডা হচ্ছে না। কারণ, এই রাজ্যেই দুই সরকার জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, এ ধরনের কার্যকলাপে সহযোগিতা করছে। কারণ, এটাই ওদের রাজনৈতিক রেসিপি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ২০১৯ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে তার মধ্যে ১ হাজার কিলোমিটার এখনও কাঁটাতার দেওয়া হয়নি। এর আগে বাম সরকারও চায়নি যে ওই সব এলাকায় সীমান্ত থাকুক। এখন তৃণমূল সরকারও চাইছে না। কারণ, তা হলে দেশে অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা আসা বন্ধ হয়ে যাবে। ভোটব্যাঙ্ক কমে যাবে। তাদের জেতাবে কে?’
এদিকে, বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন আল কায়দা আতঙ্কবাদীকে এনআইএ গ্রেফতার করার পর এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ এই উগ্রপন্থীদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। নানা জায়গার আতঙ্কবাদীরা তাদের সুবিধা মতো পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে। রাজ্য সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই নোংরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ছেড়ে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। আমি চাই সরকার যে কোনও জঙ্গি বা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাক।’