করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সারা দেশের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, যেখানে সারা দেশে প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তিন কোটির কিছু বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে ভ্যাকসিনের জোগান ঠিকমতো আসছে না। ভ্যাকসিনের জোগান ঠিকমতো না আসার কারণেই ভ্যাকসিন পেতে মানুষের দেরি হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের সব মানুষই ভ্যাকসিন পাবেন। উল্লেখযোগ বিষয় হল, প্রথম ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজ্য পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজ্য অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১ কোটিরও বেশি মানুষের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুরুতে এই রাজ্যে অন্য রাজ্যের তুলনায় ভ্যাকসিনের জোগান কম ছিল। কিন্তু এখন সেই জোগানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। অন্য রাজ্যে শুধু প্রথম ডোজের উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে প্রথম ডোজের পর যাতে দ্বিতীয় ডোজ বকেয়া না থেকে যায়, সেদিকেও সমান খেয়াল রাখা হয়েছে। এর ফলে এখন রাজ্যে যত জন মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তার অর্ধেক সংখ্যক মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত অগস্ট মাসে ১ কোটির কাছাকাছি টিকা সরবরাহ করা হয়েছিল। সেই টিকার ব্যবহার ঠিকমতো হওয়ায় ১ কোটি ২০ লাখের মতো টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন, ত্রিপুরাতে ৮৯ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। সিকিমে ১০০ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এই রাজ্যেও যাতে প্রথম ডোজে টিকা প্রাপকদের সংখ্যা বাড়ে, তাই টিকা সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।