কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স শেষ হওয়ার পরেই মোদীকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার একের পর এক তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘খারাপ লেগেছে, একটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েও তাঁদের কথা বলতে না দেওয়া। আমরা রাজ্যের দাবি নিয়ে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্য বলতে দেওয়া হয়নি। ওনার পছন্দের কিছু ডিএম, বিজেপি রাজ্যের ম্যাক্সিমাম চার পাঁচজনকে দিয়ে বলিয়ে নিজে ভাষণ দিয়ে শেষ করে দিলেন। কী যে ভাষণ দিলেন সেটাও বুঝলাম না? কোভিড নিয়ে মিটিং এত ক্যাজুয়াল? সুপারফ্লপ মিটিং।আমরা অপমানিত বোধ করছি। আমাদের পুতুলের মতো বসিয়ে রাখা হল। কোভিড ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ব্যাপারে কিছু জানতে চাওয়া হল না।' এভাবেই মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেকে এনে তাঁদের অপমান করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই কোভিড মিটিং ইস্যুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ অশোভনীয়। পুরো মিটিংটাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। উনি বলেছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যের জেলা শাসকদের বৈঠকে ডাকা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, কেরল ও মধ্যপ্রদেশের জেলা শাসকরা নিজেদের মতামত দিয়েছেন। ২৪ পরগনার জেলা শাসককে বলতে দেননি মমতা। বললেন ডিএম কী জানেন, আমি বেশি জানি। প্রধানমন্ত্রীর বেঠকে এই ধরণের অশোভনীয় আচরণ দুর্ভাগ্যজনক।’
প্রসঙ্গত প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের ৯টি জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বৈঠকে হাজির থাকবেন। এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী কেন থাকবেন না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই সূচি বদল করে মুখ্যমন্ত্রী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।