আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছেন। এনিয়ে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের মধ্যেই রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ কার্যত উসকে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। এনিয়ে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। এসবের মধ্যেই ফের উত্তরবঙ্গের মাটিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলওকে ঘিরে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, বিগতদিনে এই কেএলওর দাপট ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল সরকারের। ফের কি নতুন অশান্তির প্রহর গুণছে উত্তরবঙ্গ?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় এটি আত্মগোপনকারী কেএলও চিফ জীবন সিংহের ভিডিও বার্তা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।পাশাপাশি রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জীবন সিংহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে উত্তর পূর্বের জঙ্গল লাগোয়া কোনও গোপন ডেরা থেকে তিনি এই ভিডিও বার্তা দেন। তাঁর সঙ্গে অন্তত ৯জন অস্ত্রধারী সঙ্গীকেও দেখা যায়। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
পাশাপাশি গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়কে মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। তবে ভিডিওর মাঝখানে একটি মুরগির ডাক শোনা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে কোনও বনবস্তির কাছাকাছি ভিডিওটা তোলা। জাতি, ভাষা সংস্কৃতির বাঁচানোর লক্ষ্যে তিনি বক্তব্য রাখেন। ৬ মিনিট ৪০সেকেন্ডের এই ভিডিও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। প্রশ্ন উঠছে তবে কি নতুন অ্য়াকশন স্কোয়াড তৈরির দিকে এগোচ্ছেন কেএলও চিফ তথা আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের এক সময়ের বাসিন্দা জীবন সিংহ? তবে কি ফের অন্য়ান্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে কেএলও? সব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।