রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে এখনই কেন উপনির্বাচন করাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুক্রবার হুগলিতে একটি সভায় এসে এই প্রশ্নই তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, যেখানে রাজ্যের মানুষকে ঠিকমতো টিকাই দেওয়া হয়নি, সেখানে এখনই উপনির্বাচন করানো হবে কিসের ভিত্তিতে?
এদিন দলীয় কার্যালয় এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘যাঁরা শতাধিক পুরসভার ভোট করাতে পারে না, এখনও লোকাল ট্রেন চালাতে পারেনি, তাঁরা এখন উপনির্বাচন করাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। লোকাল ট্রেন চালু করা যায়নি মানে রাজ্যে কোভিড সমস্যার গভীরতা কমেনি। যদিও একে ওকে তাঁকে ফোন করে কোভিডের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর রাজ্য সরকারের একটি বিশেষ সেল কাজ করছে।’
বিজেপির তরফে অবশ্য এর আগেই উপনির্বাচন করানো নিয়ে তাড়াহুড়ো করার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, রাজ্যে এখনও ১০০–এরও বেশি আসনে পুরসভা ভোট বাকি। তাই পুরভোট কেন করানো হচ্ছে না? আগে পুরভোট করানো হোক। তারপর উপনির্বাচন যখন করানো দরকার, তখনই করানো হবে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন আছে। কমিশনই নির্দিষ্ট সময়ে উপনির্বাচন করবে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও জানিয়েছিলেন, তৃণমূল পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা ভোগ করার চেষ্টা করছে। সেজন্য ইচ্ছে করেই পুরভোট করাতে চাইছে না। রাজ্য বিজেপি সভাপতির সুরে সুর মিলিয়েই এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই একই ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটে প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে ২টি আসনে ভোট হতে পারেনি। এরপর আরও ৫টি আসনে ভোট করানোর প্রয়োজনীয়তা এসে পড়ে। এই ৫টি আসনের মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রটি রয়েছে, যেখানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ইস্তফা দেন। এই আসন থেকেই গত বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এবারে অবশ্য তিনি নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন।