মাস তিনেক আগেই বিয়ে হয়েছিল দম্পতির। বিয়ের পরই পণের জন্য বধূকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পণের টাকা না মেলায় নববধূর শ্বাসনালী কেটে খুন করল স্বামী। এমনই অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধ। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে মালদহ থানার পুলিশ। শনিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ থানার দেউলি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে গাজোল থানার বৈরগাছি এলাকার বাসিন্দা মৃত ওই গৃহবধূর নাম রূপালি বিবি (২৫)। স্বামীর নাম রুকসাদ আলি। মৃতের এক আত্মীয় জাহিরুল ইসলাম দাবি করেন, মার্চ মাসে মালদহ থানার দেউলি গ্রামে রুকসাদ আলির সঙ্গে বিয়ে হয় রূপালির। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিল রূপালির পরিবার। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আরও দু’লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য রূপালির উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। রূপালির বাবা এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। ফলে, জামাইয়ের চাওয়া দু’লক্ষ টাকা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সেকারণে মেয়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে রুকসাদ। এমনকী তাঁকে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ। সেই পণের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, রূপালিকে বাপের বাড়ি থেকে দু’লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলে রুকসাদ। তা অস্বীকার করলে, মারধর করে তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। এরপরই সে রূপালীর গলার শ্বাসনালী কেটে খুন করে বলে অভিযোগ উঠে।
সকালে এলাকার বাসিন্দারা দেখেন, সদর দরজা হাট করে খোলা। ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় রূপালির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনার খবর পয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতার পরিবারের দাবি, পণের টাকা দিতে না পারায় তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে জামাই। মৃতের বাবার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে রুকসাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।