বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে। এবার তাঁর বাসভবনকে ঘিরেও নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের জমিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে তিনি বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও অনুমতি নেননি। এনিয়ে জানতে চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়। চিঠির উত্তরের জন্য দিন সাতেক সময়ও দেওয়া হয়। তবে সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগেই জেলা প্রশাসনের কাছে উত্তর পাঠিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। সোমবারই এব্য়াপারে বাগানের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।
চা বাগান মালিকদের সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অফ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, 'লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান আমাদের সংগঠনের আওতায় রয়েছে। বাগানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদের কোয়ার্টার রয়েছে। তবে সেখানে কোনও নির্মাণকাজের অনুমতি তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া চা বাগানের জমি লিজে নেওয়া হয়। বাগান কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে অনুমতি দিতেও পারে না।'
এদিকে প্রশাসন ও বাগান মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের কাজ ছাড়া অন্য কোনও নির্মাণকাজ বাগানের জমিতে সচরাচর হতে পারে না। যদি কোনও বিশেষ প্রয়োজনে তা করতে হয় তবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সাংসদ নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ। এদিকে জেলা প্রশাসনও গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তবে এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বানারহাটের চামুর্চি মোড়েও পূর্ত দফতরের জমিতে বারলার উদ্যোগে নির্মানকাজ হচ্ছিল বলে তৃণমূলের তরফে পৃথক অভিযোগ তোলা হয়। তবে সেখানে আপাতত বিজেপি ও বিজেপি প্রভাবিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস খোলা হয়েছে।