বাড়িতে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। মৃতদেহের উপর চাপানো রয়েছে একটি চাদর। পচন ধরতে শুরু করেছে মৃতদেহে। অশোকনগর থানা এলাকার সুভাষ পল্লিতে এমনই পচাগলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত গৃহবধূর নাম মালা দত্ত (৩৭)। এই ঘটনায় মৃতের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তার পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলা হয়েছে মালাকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ু রোগের সমস্যা ছিল মালার। বাড়িতে স্বামী এবং একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন। তার স্বামী পাইপলাইনের কাজ করেন। তিনজনেই অসুস্থ । তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তাঁদের বাড়ি থেকে পচা গলা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বুধবার সকাল হতেই সেই গন্ধে টিকতে না পেরে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খোঁজখবর নিয়ে আসল ঘটনা জানতে পারেন। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ খাটের উপরে পড়েছিল। মৃতদেহের উপরে চাদর চাপানো ছিল। তবে তার শরীরে বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, দু'তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু মারা যাওয়ার পরেও সে ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী বা ছেলে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ মনে করছে, মৃতের স্বামী এবং ছেলে দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন।
অন্যদিকে, মৃতের ভাই মানস মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁর দিদি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তাঁর জামাইবাবু দিদির চিকিৎসার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেযননি। শুধুমাত্র ওষুধ এনে দিতেন। ডাক্তারের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত না। বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এটিকে খুন বলে দাবি করছেন তিনি। যদিও এটা খুব কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট পাওয়ার পর এই প্রকৃত তথ্য জানতে পারবে পুলিশ।