উৎসবের মরশুমেও রেশনে কোপ পড়তে চলেছে। সে কথা আবার চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। সুতরাং রেশন নিয়ে এবার প্রকাশ্যে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত বেঁধে যেতে বসেছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় রাজ্যকে আগামী নভেম্বর মাসের রেশন দেবে না কেন্দ্র। সেই কথাই চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হল। আর তার জন্য দোষ চাপানো হল রাজ্যের উপরেই। এই চিঠির জবাব অবশ্য এখনও দেয়নি রাজ্য। তবে আশা করা যাচ্ছে যে জবাব দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
করোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পরই সাধারণ মানুষের স্বার্থে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। নিজে মুখে সে কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই গরিব কল্যাণ যোজনার মেয়াদও বৃদ্ধি করেন। কেন্দ্রের অভিযোগ, অন্ন বিতরণ পোর্টালে রাজ্য কোনও তথ্য দেয়নি। তাই নভেম্বর পর্যন্ত এই যোজনার মেয়াদ বাড়লেও এই মাসের রেশন পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হবে না।
আর রেশন না দেওয়ার কথা জানিয়ে খাদ্য দফতরের মুখ্যসচিবকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্ন বিতরণ পোর্টালে তথ্য না দেওয়ায় নভেম্বর মাসের রেশন পাবে না রাজ্য। এখন বাংলায় দুর্গাপুজো চলছে। এটা সবথেকে বড় উৎসব। নভেম্বর মাসেও একাধিক পুজো ও উৎসব রয়েছে। সেখানে আগাম সতর্ক না করে সরাসরি রেশন বন্ধ করে দেওয়ার চিঠি রাজ্যবাসীকে ভাতে মারার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, এরপর তারা বাংলাকে পাখির চোখ করে ভোটে জিততে চায় কোন সাহসে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেখানে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে গরীব মানুষের ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই কেন্দ্রের রেশন সামগ্রী নিম্নমানের বলে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে রেশন দুর্নীতির অভিযোগও তোলে বিজেপি নেতারা এবং কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতির মধ্যে ফের একবার কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত বেঁধে যেতে বসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।