বুধবার সাত সকালে পতাকা বিড়ির মুর্শিদাবাদ অফিসে হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকেরা। সকালে বেশ কয়েকটি গাড়ি করে অফিসে আসেন তাঁরা। আধিকারিকেরা ভিতরে ঢুকতেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে সিআইএসএফ জওয়ানরা। পতাকা বিড়ির ঔরাঙ্গাবাদ অফিসের পাশাপাশি কলকাতার মার্জি গলিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার অফিসে হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকেরা।
কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সকাল ৮টা নাগাদ বিড়ি কোম্পানির অফিসে হানা দেন আয়কর আধিকারিকেরা । সেই সময় কাজে যোগ দিতে আসেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। তাদের কারখানার বাইরেই আটকে রাখা হয়। সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের আগে এই আয়কর হানায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সুতির বিদায়ক জাকির হোসনের বাড়ি ও গুদামে হানা দিয়েছিল আয়কর আধিকারিকেরা। সেই সময় সামসেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ও বিজলি বিড়ি কারখানায় হানা দেয় আয়কর আধিকারিকেরা।
তবে এই আয়কর হানায় বিপাকে পড়েছেন বিড়ি শ্রমিকেরা। বিড়ি মুন্সীদের দাবি, কারখানার মধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার কাঁচা বিড়ি আটকে রয়েছে, অবিলম্বে তা বের না করলে প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে। তাঁদের দাবি আয়কর আধিকারিকরা তাঁদের কাজ করুন। কিন্তু শ্রমিদের ভিতরে যেতে দেওয়া হোক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আয়কর দফতরের কর্মীরা তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।
সকালে যখন আয়কর আধিকারিকরা বিড়ি কারখানার ভিতর ঢোকেন তখন তাঁদের সঙ্গে একটি লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে সঙ্গে ঢোকেন দুই সিআইএসএফ জওয়ান।