বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > 6th Pay Commission DA: সাদা উর্দিতে ডিএ প্রাপ্তির হাসি বাড়ল মোটে তিন শতাংশ, তবে মঞ্চ বহু দূর

6th Pay Commission DA: সাদা উর্দিতে ডিএ প্রাপ্তির হাসি বাড়ল মোটে তিন শতাংশ, তবে মঞ্চ বহু দূর

কলকাতা পুলিশ (প্রতীকী ছবি) (PTI)

DA Announcement: ওঁরাও সরকারি কর্মচারি। তবে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে ওঁরা আন্দোলনে নামেন না কখনও। মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট পেশের পরে কী বলছেন সেই পুলিশকর্মীরা?

বিধানসভায় ঢোকার মুখে রোজই দেখা যায় ওঁদের। ঝড়-জল-রোদ— যাই থাকুক না কেন, কোনও বিধায়ক আসুন বা না-আসুন, ওঁরা থাকবেনই। দিন বদলায়, সরকার বদলায়, মন্ত্রীরা বদলে যান— তবুও ওঁরা একই থাকেন। ওঁরা পুলিশ। এবং ওঁরা একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীও বটে। আর পাঁচটা দিনের মতোই রাজ্য সরকারের বাজেট পেশের দিনেও ওঁরা একই রকম দণ্ডায়মান গেটের সামনে। নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আর পাঁচটি দিনের চেয়ে এই দিনটি আলাদা। এদিন বিধানসভায় যা সিদ্ধান্তই হোক না কেন, তার প্রভাব পড়বে ওঁদের জীবনেও। সাদা উর্দির তলায় থাকা, দায়িত্বের আবরণে ঢেকে থাকা গড়পরতা সাধারণ লোকগুলি সে সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। আর তাই সকাল থেকেই দায়িত্ব সামলাতে সামলাতেও তাঁদের চোখে ঔৎসুক্য। ডিএ বাড়বে?

বিধানসভা থেকে অনতিদূরেই আবার অন্য ছবি। সেখানে আন্দোলনরত সরকারিকারী কর্মচারিরা। বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার জন্য তাঁরাও বসে আছেন ওখানে। বুধবার তাঁদের চোখেও সকাল থেকে জিজ্ঞাসা। ঔৎসুক্য।

‘চিন্তা নেই, পুলিশও তো সরকারি কর্মী। দু’দিন বাদে ওঁরাও এসে এই মঞ্চে বসবেন।’ মঞ্চে অবস্থানরতদের একজন জোর গলায় বললেন। তখনও বাজেট পেশ শুরু হয়নি। ‘আরে দাদা, ওঁদের পেটেও তো টান পড়ছে। ডিএ পেতে কি ওঁরা চান না?’ জিজ্ঞাসা করাতেও নাম বলতে চাইলেন না তিনি। হেঁটে যেতে যেতে শুধু বলে গেলেন, ‘দেখুন না বাজেটে কী হয়! তার পরে ক’টি দিনের অপেক্ষা।’

কথা মতোই নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভায় বাজেট পেশ হল। তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে এত ক্ষণে সকলেই জেনে গিয়েছেন। কিন্তু যাঁদের নিয়ে এত কথা, তাঁরা কি বলছেন?

তখন দিনের আলো পড়ে গিয়েছে। বিধানসভার অন্দরমহল প্রায় ফাঁকা। নিরাপত্তার চাপও কমে এসেছে। উর্দির ফাঁক থেকে আরও বেশি করে বোধহয় বেরিয়ে আসতে চাইছে সাধারণ লোকগুলি।

<p>ওদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। </p>

ওদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 

‘ডিএ তো বাড়ল, চায়ের দামও এবার বাড়িয়ে দিন! আর কী!’ বিধানসভার পাশের ফুটপাথের চায়ের দোকানে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলে উঠলেন এক পুলিশকর্মী। পাশ থেকে তাঁর সহকর্মী বোধহয় শুনতে পেলেন সে কথা। এগিয়ে এসে বললেন, ‘দাদা, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছো? এক্সট্রা টাকাটায় এবার টিকিক কাটবে তো?’

সকালের থমথমে ভাব কেটেছে। জিজ্ঞাসু, ঔৎসুক্য দৃষ্টি মুছে তখন উঁকি দিচ্ছে হাসি। হতে পারে সেই হাসি মাত্র তিন শতাংশ বেড়েছে, অট্টহাস্যর থেকে তা এখনও বহু দূরে। ঠিক যেমন ভাবে এখনও বহু দূরেই আন্দোলনরতম মঞ্চে গিয়ে তাঁদের বসার মতো পরিস্থিতিও। ঝড়-জল-রোদ— যাই থাকুক না কেন, কোনও বিধায়ক আসুন বা না-আসুন, ওঁরা আপাতত নিজের জায়গাতেই থাকবেন। নড়বেন না।

বন্ধ করুন