কিছুদিন আগেই ইএম বাইপাসের ধারে চিংড়িঘাটায় একের পর এক দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশকে নিজেদের ‘ইগো’ ছেড়ে আরও সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুশিয়ারির পরও চিংড়িঘাটায় পুলিশি নিরাপত্তা বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু যান নিয়ন্ত্রণে বিধিভঙ্গের ঘটনা ঘটছেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, নাগরিক সচেতনতা নিয়েও।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের অধীনে ১,৪৭০টি ট্রাফিক আইন রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬৮১টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে শুক্রবার ৭৮৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে চিংড়িঘাটায় ট্র্যাফিক ভাঙার অপরাধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি হতেই সেই সঙ্গে নিয়মভঙ্গের প্রবণতাও বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুশিয়ারির পরও দেখা গেল, সিগনাল সবুজ থাকা অবস্থায় কোনও পথচারীকে রাস্তা পারাপার করতে। শুধু তাই নয়, হেলমেট মাথায় না দিয়েই বাইপাসের ওপর দিয়ে বাইক ছোটাতে।
বাইপাসে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মী জানান, নজরদারি চালিয়ে মামলা রুজু করে আর কত আটকাব? সুযোগ পেলেই বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মানুষ নিজে থেকে যদি সচেতন না হয়, তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না। তবে পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, শুধু চিংড়িঘাটা এলাকাতেই নয়, গোটা বাইপাস জুড়েই পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।