সোনার থেকেও বহুমূল্য এখন সে। কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সরকারের ভরসা করোনার ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিন রক্ষা করতে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা করল স্বাস্থ্য দফতর। CESC ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনা ভ্যাকসিনের সুরক্ষায় সাত স্তরীয় বলয় তৈরি করল তারা। তার পরেও কোনও কারণে ভ্যাকসিন সরানোর প্রয়োজন হলে রয়েছে তার ব্যবস্থাও।
কেন্দ্রের পাঠানো ভ্যাকসিন বাগবাজারে স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রেখে গুদামে আনা হচ্ছে সেই টিকা। তার পর তা বিতরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন জেলা ও হাসপাতালকে। ৪ – ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হয় করোনার টিকা। সেই ব্যবস্থা সচল রাখতে CESC-র বিদ্যুৎ ছাড়াও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রাখা হয়েছে একাধিক জেনারেটর। এতদিন চারস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে রাখা ছিল ভ্যাকসিন। জেনারেটর খারাপ হলে ছিল বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থাও। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকি বিবেচনা করে আরও ৩ স্তরের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাড়তি ২টি সুরক্ষার স্তর ও পূর্ত দফতরের তরফে আরও ১টি স্তর যোগ করা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ করতে নিয়োগ করা হয়েছে ২ জনকে। জেনারেটর চালানোর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ১ জন কর্মী। এছাড়া কোনও কারণে টিকা অন্যত্র সরাতে হলে নিয়োগ করা হয়েছে ২ জন। সেজন্য হেস্টিং ও বালিগঞ্জে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকাঠামোয় জায়গা খালি করা হয়েছে। বাগবাজারেও করা হয়েছে যাবতীয় আয়োজন।