এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই চিঠিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। এমন চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এর পিছনে চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন মামলাকারীদের একাংশ।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন তিনি মঙ্গলবার স্পিড পোস্ট এই চিঠির প্রতিলিপি পেয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআই হাজিরার ওপর স্থগিতাদেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আর তারপরেই এই চিঠিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমন চিঠি কে দিতে পারে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও পত্রলেখকের জায়গায় নাম রয়েছে তাপস সামন্তের। চিঠি লেখক নিজেকে তৃণমূল কর্মী এবং বর্ধমান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বলে দাবি করেছেন।
কী লেখা আছে ওই চিঠিতে?
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত এবং অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে যেন সিবিআই তদন্ত না দেওয়া হয়।’ সেইসঙ্গে চিঠিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১২ সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আরও লেখা হয়েছে, ‘মামলার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাবেন না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
এ বিষয়ে চক্রান্ত দেখছেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, ‘এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। বিচারপতি তালুকদারের এজলাসে যাতে মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। সেটাই চাইছে চক্রান্তকারী।’ অন্যদিকে, যার নামে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে সেই তাপস সামন্ত আসলে বর্ধমান বিশেষ পকসো আদালতের আইনজীবী। তিনি এই ধরনের চিঠি পাঠাননি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চিঠির বিষয়ে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে তদন্ত করা হোক।’