নিয়োগের দাবিতে এবার বিচারপতির বাসভবনে পৌঁছে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যায় বেনজিরভাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাসভবনে পৌঁছে যান SLST-র ওয়ার্ক এডুকেশনের চাকরিপ্রার্থীরা। হাতে ব্যানার ‘ভগবানের দর্শন করতে এসেছি।’ বাসভবন থেকে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বললেন বিচারপতি। দেখালের সুরাহার পথ।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বাসভবনে পৌঁছে যান প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী। বিশেষ কারণে গত কয়েকদিন আদালতে যাচ্ছেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীরা এসেছেন শুনে নীচে নেমে আসেন তিনি। এর পর চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে জানান, ‘ওয়ার্ক এডুকেশনের শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের পর সুপারিশপত্রও হাতে পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। এই শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাথমিক টেট বা অন্য কোনও পরীক্ষায় বসার অনুমতিও পাওয়া যাবে না। বিচারপতিকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের চাকরির বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। এর পর তিনি বলেন, আপনাদের সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বিষয়টিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর স্থগিতাদেশ রয়েছে। তখন চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিচারপতি বসু মামলাটি ছেড়ে দিয়েছেন। তার পর মামলা কোথায় গিয়েছে জানা নেই। তখন বিচাপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারা একজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন, তিনি এব্যাপারে আপনাদের সাহায্য করবেন। চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, আমাদের কাছে আর টাকা নেই স্যার। শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চাকরিপ্রার্থীদের লিগ্যাল এইডে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের দফতরের ঠিকানাও বলে দেন তিনি।
বিচারপতি বলেন, এব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। যা করার আদালত করবে। আদালতে অনেকে হয়রানির শিকার হয় এটা সত্যি। তবে আদালতে সত্যের জয় হবেই।