তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেছিলেন। পরে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, যাতে সকলেই চাকরি পান সেব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। দ্রুত নিয়োগপত্র পাবেন বলেও তাঁরা আশাবাদী। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বৈঠক করার এক্তিয়ার রয়েছে? আন্দোলনকারীদের দাবি অনুসারে তিনি কি আদৌ চাকরির আশ্বাস দিতে পারেন? এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। কিন্তু কী বলেছেন শিক্ষক, অধ্য়াপকরা? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ঠিক কী বললেন বিশিষ্টজনেরা?
কলেজ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্য়াসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, শিক্ষায় যে দলতন্ত্র চলছে তারই প্রমাণ এই বৈঠক। মুখ্য়মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করলে ভালো করতেন। আলোচনায় বসে প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা হতে পারে নাকি? আমরা আতঙ্কিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রাতা হয়ে উঠলেন। কিন্তু শনিবার যখন টেট উত্তীর্ণদের জোর করে তুলে দেওয়া হল তখন তাঁর মানবিক মুখ কোথায় গেল?
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাদ মেহমুদ (Zaad Mahmood) হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, এটা মগের মুলুক। যারা অযোগ্য তাঁরা চাকরি করছেন আর যাঁরা যোগ্য তাঁদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। এনিয়ে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। যারা অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন তাদের কী হবে? সেটা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হল না। সেখানকার যে জটিলতা সেটা কীভাবে কাটবে? আমরা চাই যোগ্য প্রার্থীরা অবশ্যই চাকরি পান।
উত্তর দিনাজপুরের এক শিক্ষক সন্দীপ কুমার ঝা বলেন, আমরা সকলেই চাইছি ওই কর্মপ্রার্থীরা চাকরি পান। কিন্তু আলোচনাগুলি নিয়ম মেনে হোক।