করোনা পরিস্থিতিতে টিকিটের জন্য লম্বা লাইন, ভিড় ও সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে ই–পাস এনেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাদের স্মার্ট কার্ড নেই তাদের কাছে ইতিমধ্যে কাজে এসেছে প্রযুক্তি–নির্ভর এই পাসের ব্যবস্থা। মেট্রো পরিষেবায় এর সফল প্রয়োগ দেখে এবার দুর্গাপুজোয় প্রতিমাদর্শনের ক্ষেত্রেও ই–পাস আনার কথা ভাবছে কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটির একাংশ।
২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার প্রধান পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই শহরের জনপ্রিয় পুজোমণ্ডপগুলিতে ই–পাস ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেবেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সদস্যরা। ইতিমধ্যে তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুজো আয়োজনের ক্ষেত্রে জনসাধারণ ও সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাব রেখেছেন। যেমন, রাতে ভিড় রুখতে নিয়ন্ত্রিত আলোকসজ্জা, প্রতিমা ও মণ্ডপের উচ্চতা কমানো, মণ্ডপের ভেতরে সর্বাধিক ২৫ জন দর্শনার্থী ইত্যাদি। এবার সেই তালিকায় জুড়ল ই–পাস।
গত কয়েক বছরে কলকাতার কোন মণ্ডপে কেমন ভিড় হয়েছিল সেই তথ্য ইতিমধ্যে পুলিশ ও পুরসভার কাছে থেকে জোগাড় করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। তার মধ্যে বাছাই করা হয়েছে ৪০টি বিপুল জনপ্রিয় পুজোমণ্ডপকে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানান, ওই ৪০টি পুজোয় ই–পাসের ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ঠিক করা হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে বিকেলের আগে পর্যন্ত যখন মণ্ডপ প্রধানত ফাঁকা থাকে, তখন এই পাস লাগবে না। কিন্তু রাতে ভিড় বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে পড়বে ই–পাসের প্রয়োজনীয়তা। পুজো কমিটিগুলি আশাবাদী, এই পাসের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।