দুর্ঘটনার পর পড়ল টনক। যে সব বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই, সেইসব আনফিট বাসগুলিকে অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেজন্য বিশেষ অভিযান চালানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
রবিবার কলকাতার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিনিবাস দুর্ঘটনার পরই নজরদারির খামতি এবং চূড়ান্ত গাফিলতির দিকটি সামনে আসে। জানা যায়, চার বছর আগেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। বিমা-সহ অন্যান্য নথির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছিল রিসোল টায়ার। একটি বা দুটিতে নয়, চারটিই রিসোল টায়ার ছিল। একটি মহলের দাবি, ওই বাসের যে মূল মালিক ছিলেন, তিনি কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন। তারপরও তাঁর নামেই দিব্যি ছুটছিল হাওড়া-বাঁকড়া রুটের মিনিবাসটি। একাধিক কারণে বাসটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহন কার্যালয় (আরটিও)।
সেইসব অস্বস্তিকর তথ্য সামনে আসার পরই টনক নড়েছে রাজ্য সরকারের। দুর্ঘটনার পর আরটিও এবং পুলিশ কমিশনার নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেন পরিবহনমন্ত্রী। তিনি জানান, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও বাস যেন রাস্তায় না নামে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করতে হবে আনফিট বাসগুলিকে। সেজন্য বিশেষ অভিযান চালানোরও নির্দেশ দেন ফিরহাদ।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর দুটো ১০ মিনিট নাগাদ ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে চাকা ফেটে উলটে যায় একটি মিনিবাস। বরযাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল সেটি। ৩৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও প্রাণহানি না হলেও ‘অসুস্থ’ বাসের গতিতে যে লাগাম টানা যায়নি, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায়। তারইমধ্যে আনফিট বাস বাজেয়াপ্ত করতে কড়া নির্দেশ দেন পরিবহনমন্ত্রী। যদিও সেই কড়া নির্দেশের পর প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবারই তো দুর্ঘটনার পর নজরদারি, ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে হইচই হয়। নির্দেশ দেওয়া হয় নজরদারির। এতদিন কেন সেই কাজটা ঠিকভাবে করা হয়নি, কেন ঠিকভাবে নজরদারি চালানো হয়নি?