একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তারপরই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসেন। তখনই চর্চায় উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেসে অভিষেক এখন সেকেন্ড ইন কমান্ড। যদিও অভিষেক নিজে সেটা মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে একজনই নেত্রী— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি সকলেই কর্মী। এমনকী আমি নিজেও।’ একুশের নির্বাচনের পর দলে অভিষেকের গুরুত্ব কয়েক গুণ বেড়েছে। এটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।
এখন জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। কংগ্রেস পেগাসাস ইস্যুতে অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহ জুটির সরাসরি মোকাবিলা করেছেন অভিষেক। এবার দেখা যাচ্ছে, গুরুত্ব বেড়েছে তাঁর কন্যা আজানিয়ারও। রবিবার ছিল আজানিয়ার জন্মদিন। সবাই এই ছোট্ট মেয়েটিকে অকাতরে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটমাধ্যমে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সবাই রয়েছেন। এখানেই একটি পোস্টে আজানিয়াকে ‘ভবিষ্যতের অগ্নিকন্যা’ বলা হয়েছে! বাংলার অগ্নিকন্যা বলা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুতরাং এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট গুরুত্ব বেড়েছে আজানিয়ার।
আজানিয়া এখন স্কুলে পড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন ২ মে, কালীঘাটের বাড়ির বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে এলেন, তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে দু’আঙুল তুলে ‘ভিকট্রি’ দেখিয়েছিল আজানিয়া। মমতা–আজানিয়ার সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু আজানিয়াকে কেউ তখনও ‘ভবিষ্যতের অগ্নিকন্যা’ বলে অভিহিত করেননি।
আজানিয়ার জন্মদিনে তার ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দাপুটে বিধায়ক মদন মিত্র। আবার ইনস্টাগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি শাখা সংগঠনের নামের অ্যাকাউন্টে আজানিয়ার ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘ভবিষ্যতের অগ্নিকন্যা’। এই বিষয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছে তখন তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘এগুলি আসলে অভিষেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অভিষেকের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে, তাই তাঁকে খুশি করার প্রবণতাও বাড়ছে।’