ধর্ষণ মামলায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
দু মাস আগে কসবা থানায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক তরুণী। নির্যাতিতার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পরও ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তে গাফিলতি করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও তদন্তকারী অফিসার। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন তাঁরা। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে বার বার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতকে জানায়, ধর্ষণ মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের একটি স্ট্যান্ডার্ড ইনভেস্টিগিটিং পদ্ধতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘটনার দিন নির্যাতিতার পরনের পোশাক, অন্তর্বাসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হয়। পাশাপাশি নির্যাতিতার রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা কোনও কিছুই করা হয়নি। অভিযুক্তের কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হয়নি।
নির্যাতিতার আইনজীবীর তরফে এই বক্তব্য শোনার পর আলিপুর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুতীর্থ বন্দ্যোপাধ্যায় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এখন এই ধর্ষণ মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে পাটুলি মহিলা থানায়।