সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালি বেতাজ-বাদশা তথা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে অবশ্য তাঁর ঠাঁই হয়েছে জেলে। আর এবার ভাঙড়ের আদিবাসীদের জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠল আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আদিবাসীরা।
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিতে ৬১ জনকে জমি ফেরত , বেড়মজুরে শুরু অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোর কাজ
বিজেপির নেতৃত্বে আদিবাসী মানুষজন এদিন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিজেপির জয়নগর জেলার সহ সভাপতি কালিপদ নস্কর এদিন আদিবাসীদের নিয়ে কলকাতা লেদার কম্পলেক্স থানায় হাজির হন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আদিবাসীদের জমি জবরদখলের বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এছাড়াও তিনি আদিবাসীদের জমি জবরদখলের পাশাপাশি পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
অভিযোগ, ভাঙড় ১ নাম্বার ব্লকের তাড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাখালতলা গ্রামে কয়েকশো আদিবাসী পরিবারের বসবাস। এই সমস্ত আদিবাসী গ্রামের বিঘার পর বিঘা জলা জমি জবরদখল করা হয়েছে। তাঁর দাবি, আদিবাসীরা বাম আমলে পাট্টা পেয়ে এইসব চাষাবাদ করছিলেন। সেই জমি এলাকার কিছু জমি মাফিয়া দখল করে নেওয়ার পাশাপাশি পাঁচিল গড়ে তুলছে। প্রায় ৩০-৪০ বিঘা জমির উপরে আলাদা আলাদাভাবে প্লট করে তাতে পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে। এই অবৈধ নির্মাণ থেকে জলা জমি দখলের যে অভিযোগ উঠছে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাকেশ রায়ের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ তুলেছেন আদিবাসীরা।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, এই রাকেশ রায় তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। রাকেশের পাশাপাশি আরও এক তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কালিপদ নস্করের অভিযোগ, এই সমস্ত জমি আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপরে সেই জমিগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। জলাভূমির উপরে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু জমি থেকে মাটি তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই জমিগুলিতে চাষাবাদ করেই বেঁচে থাকেন সেখানকার আদিবাসীরা। সেক্ষেত্রে এমন অবস্থায় আদিবাসীদের পেটে লাথি পড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। যদিও এ বিষয়ের তৃণমূলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।