চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের আউটডোরে নিয়ে আসা হয়েছিল আসামীকে। হাসপাতাল থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেল বিচারাধীন বন্দী। সোমবার সকালে হাসপাতাল চত্বর থেকে পালিয়ে গিয়েছে একবালপুরের তরুণী সাবা খাতুন হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সাজিদ। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে এসএসকেএম চত্বরে। পলাতক ওই আসামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সাজিদকে রুটিন চিকিৎসার জন্য এসএসকেএমের আউটডোরে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখান থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ওই আসামী। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে একবালপুর এলাকার এমএম আলি রোডের ফুটপাথ থেকে এক তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত ওই তরুণীর নাম সাবা খাতুন ওরফে নয়না। তার ফোন কলের রেকর্ড ঘেটে মহম্মদ সাজিদ নামের এক যুবকের সন্ধান পায় পুলিশ। তাকে আটক করে জেরা করতেই খুনের বিষয় স্বীকার করে নেয় সাজিদ। এ-ও স্বীকার করে নেয় যে, এই খুনের সঙ্গে তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগমও জড়িত। এরপরেই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে একবালপুর থানার পুলিশ। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, বিবাহিত সাজিদের সঙ্গে সাবার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর ২০’র সাবা ওই এলাকারই ওয়ারসি লেনে থাকত। দু’জনের মধ্যে আলাপ তারপর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওদিকে পুলিশ জানতে পারে ধৃত ওই যুবকের সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল। এই ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে প্রায় বিবাদ লেগেই থাকত। ওদিকে সাবা বিয়ের করার জন্য সাজিদকে চাপ দিচ্ছিল বলে জানতে পারে তদন্তকারীরা। তদন্তে আরও উঠে আসে, এই ব্ল্যাকমেলিংয়ের বদলা নিতেই সাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাজিদ। অভিযোগ উঠে, সাবাকে খুন করার সময় সাজিদকে সাহায্যও করে তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগম। ঘটনায় দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে আদালতে এই ঘটনায় চার্জশিটও পেশ করেছে পুলিশ।