ভাঙচুর, ইভটিজিং, রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষের। এদিকে তাকে পাকড়াও করতে শুক্রবার অভিযানে নামে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। কার্যত নাটকীয়ভাবে তাকে একেবারে দরজা ভেঙে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমনটাই খবর স্থানীয় সূত্রে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুরে মুচিপাড়া থানার পুলিশ সজল ঘোষের বাড়িতে যান। মুচিপাড়া থানার ওসি জানালা দিয়ে সজলকে নির্দেশ দেন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তিনি বেরোননি বলে অভিযোগ। এরপরই বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুলিশকর্মীদের লাথি মারতে শুরু করেন দরজার উপর। কার্যত লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। এরপর পাকড়াও করা হয় সজলকে ঘোষ। কার্যত টানতে টানতে তাকে গাড়িতে তোলা হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের এক যুব নেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল সজলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সজল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ইভটিজিং দুটি অভিযোগই ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযান চালায়। আসলে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় ঝামেলা বেঁধে। তার জেরেই ঝামেলার সূত্রপাত।
সেই ঝামেলার আঁচ গিয়ে লাগে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর দোকানে। সেই দোকানেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি ক্লাবেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই সজলের নেতৃত্ব মুচিপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূলও পালটা বিক্ষোভে নামে। থানার মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। শুক্রবার সকালেও তার রেশ ছিল। বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষও হয় এলাকায়।এদিকে সজলের বাবা প্রদীপ ঘোষ এনিয়ে মুখ খুলেছেন। প্রসঙ্গত তিনি প্রথম দিকে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূলের নেতা হন। তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল শ্লীলতাহানি করেছে। সজলকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।