কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরানোর বিরোধিতায় সরব হলেন অরূপ রায়। দলের হাওড়া জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই মূলত দল ছেড়েছিলেন রাজীব। ভোট মিটতে না মিটতেই পুরনো দলে ফিরতে তাঁর তৎপরতায় চোখা চোখা শব্দে তাঁকে বিঁধেছেন তিনি।
সোমবার অরূপবাবু বলেন, ‘একজন প্রতারক, মিথ্যেবাদী, বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে এত মাতামাতি করার দরকার নেই। উনি মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটূক্তি করেছেন। দলের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যে কথা বলেছেন। এখন লোকের পায়ে ধরে বেড়াচ্ছে। লজ্জাও নেই এদের।’
কল্যাণের সুরেই অরূপ রায়ের কড়া বার্তা, ‘যারা কঠিন সময় মা-কে ছেড়ে চলে যায় এমন বিশ্বাসঘাতকদের আমরা ক্ষমা করবো না। জেলার তৃণমূল কর্মীরা এদের মেনে নেবে না’।
শনিবার থেকে শুরু হয় রাজীবের তৃণমূলে ফেরার তৎপরতা। সেদিন বিকেলে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রীতিমতো উজিয়ে কুণালের বাড়ি গিয়ে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে বলেন, ‘নিছক সৌজন্য’। রবিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে পড়িমরি সেখানে হাজির হন রাজীব। সেখানে বলেন, ‘বিপদে বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে এসেছি।’
রাজীবের কুণালের বাড়ি যাওয়া নিয়ে রবিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কুণালের বাড়ি গেছে বলে ও গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গেছে না কি? অনেক খেটে ডোমজুড়ে ওকে ৪২ হাজার ভোটে হারিয়েছি। ভোটের আগে ও দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছিল।’