বিধানসভা সূত্রে খবর, বালিগঞ্জ কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র নিয়ে বিধানসভায় অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন বাবুল সুপ্রিয়। সুতরাং প্রথা মেনে বাবুলের শপথের অনুমতি চেয়ে রাজ্যপালকে ফাইল পাঠান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ফাইলে সই করেননি জগদীপ ধনখড়। উলটে নানা শর্ত দিয়ে তা ফেরত পাঠিয়েছেন।
এবার বাবুল সু্প্রিয়র শপথ নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে ফের রাজভবন–বিধানসভা সংঘাত লাগল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ ঘিরে রাজ্যপালের শর্তে তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা। এমনকী শপথপাঠ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। আর তা নিয়েই সুর চড়ালেন স্পিকার।
ঠিক কী বলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ? আজ, বুধবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানো রাজ্যপালের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। তিনি নিজে করবেন, নয়ত কাউকে দায়িত্ব দেবেন। নির্বাচনে জিতে আসার পর দ্রুত শপথপাঠ করানো উচিত। না হলে বিধায়ক অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। আর মানুষ এলাকার উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন। এই শপথগ্রহণ কোনও শর্তাধীন হতে পারে না।’
সূত্রের খবর, শুধু ফাইল ফেরত পাঠিয়ে থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। বিধানসভার সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। এমনকী এতদিন বিধানসভা সংক্রান্ত যা যা প্রশ্ন তিনি করেছেন, তার উত্তর দিলে তবেই ফাইলে সই করবেন বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় কবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিতে পারবেন তা ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে।