লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে শুক্রবারও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখার আধিকারিকরা। এদিন শিয়ালদহ শাখায় আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন বিভাগীয় রেল আধিকারিক এসপি সিং। বৈঠক শেষে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের তরফে সুর্নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না এলে লোকাল ট্রেন চালানোর প্রশ্ন নেই। বরং দূরপাল্লার ট্রেন বাড়ানো যায় কি না তা নিয়ে রেল বোর্ডকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এদিন শিয়ালদহের ডিআরএম জানিয়েছেন, কত শতাংশ ট্রেন চলবে তা ঠিক করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। তবে বর্তমান চাহিদা অনুসারে ৫০ শতাংশের বেশি পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। ট্রেন আদৌ চলবে কি না তা নির্ভর করবে আনলক ফোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকার ওপর।
গত বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চললে আপত্তি নেই তাদের। রেলের আধিকারিকদের দাবি, ভাববাচ্যে বলা এই ধরণের মন্তব্যের ভরসায় পরিষেবা শুরু করা যায় না। কিন্তু ট্রেনের মতো গণপরিবহণে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কী করে বজায় রাখা সম্ভব তা ভেবে কূল করতে পারছেন না আধিকারিকরা। তাই ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। কারণ লোকাল ট্রেন থেকে সংক্রমণ ছড়ালে দায় পড়বে বিভাগীয় আধিকারিকদের ওপরে।
তাছাড়া প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের কামরায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশের কতটা সাহায্য মিলবে সেব্যাপারেও সন্দিহান তাঁরা।
শিয়ালদহের ডিআরএম জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে ধরে নিয়ে স্টেশনের সমস্ত টিকিট বুকিং মেশিন চালিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। মার্চ মাস থেকে অচল সেগুলি। শেষ দিন চালু করলে কোনওটা কাজ না করলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। সঙ্গে তিনি জানান, লোকাল ট্রেন চালু হলে চলবে ১২ কামরার রেকই। কামরার সংখ্যা কমবে না।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেল পরিসরে ভিড় ও হকার নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। রাজ্য পুলিশের কী ধরণের সাহায্য করতে রাজি হয় তার ওপর নির্ভর করবে লোকাল ট্রেন চলাচলের ভবিষ্যৎ।