পার্থ-অর্পিতার মতোই অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমে সামনে আসছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের অন্তত তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে ঝাড়খণ্ডে। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ঝাড়খণ্ডে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনিয়ে এবার খোঁজখবর শুরু হয়ে গেল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গেও এনিয়ে যোগাযোগ করছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে সেখানকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অনুব্রতর। তাঁরা তারাপীঠে পুজো দিতে আসতেন। সেই সময় যত্নআত্তি করতেন অনুব্রত। আর বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে গরু পাচারের টাকা সাদা করার চেষ্টা করা হত। আর সেই কাজে ঝাড়খণ্ডের বন্ধুরা সহায়তা করতেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই জেনেছে ঝাড়খণ্ডের ক্রাশার ফ্যাক্টরিতে গরু পাচারের টাকা খাটত।একটি দৈনিক সংবাদপত্রে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মূলত অবৈধভাবে অর্জিত টাকা এভাবেই ঝাড়খণ্ডের ক্রাশার ফ্যাক্টরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এনিয়ে একাধিক তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসেছে।
আর সেই তথ্য দেখে হতবাক তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে ঠিক কত টাকার লেনদেন হত, এর সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডল কতটা জড়িয়ে ছিলেন সবটারই সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে ক্রাশার ফ্যাক্টরির মালিকদেরও ডেকে পাঠানো হতে পারে।
এদিকে বীরভূমের একটি ব্যাঙ্কে অনুব্রত ও ঘনিষ্ঠদের ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এবার আরও দুটি ব্যাঙ্কের সম্পর্কে জানতে পেরেছে সিবিআই। সেখানেও কেষ্টর অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। আর কোথায় আছে টাকা, সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।