ভিড় সামলাতে ব্যারিকেড। সাধারণ মানুষ কলকাতায় দুর্গাপুজো বা মিছিলের সময় এই ব্যারিকেড দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ব্যস্ততম শিয়ালদহ রেলস্টেশনে এই ব্যারিকডে দেখে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। করোনা সংক্রমণ রুখতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে স্টেশনে চত্বরে একাধিক ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সোমবার সেই ব্যারিকেডেই ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হল।
এর আগেই নিত্যযাত্রীরা দাবি করেছিলেন, ট্রেন ঢোকার সময় ভিড়ের চাপে এই ব্যারিকেড বিপর্যয়ের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বহু যাত্রী সেই ভিড়ের চাপে পড়ে আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ নিত্যযাত্রীরা। এবার রেলের সেই ব্যবস্থাই এক যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনে ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী। তিনি ভিড় থেকে কোনওমতে বেরিয়ে হ্যাংগিং গার্ডেনের কাছে এসে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ব্যারিকেড একেবারে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
শিয়ালদহ স্টেশনের নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ভিড় সামলাকে এই ব্যারিকেডের মাধ্যমে যাতায়াতের আলাদা লেন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। স্টেশনে ঢোকার সময় সেই নিয়ম মেনে একে একে ঢুকছেন যাত্রীরা। কিন্তু টেন ঢুকলেই সেই পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। ভিড়ের চাপে করোনার দূরত্ববিধি বলে তো কিছুই থাকছে না, উল্টে মানুষ আহত হচ্ছেন। এবার মৃত্যুও হল একজনের।
অবশ্য এই ঘটনার পরও টনক নড়েনি রেল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা তাঁদের ব্যারিকেড সিদ্ধান্ত থেকে সরতে নারাজ। রেল পরিষ্কার জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ও রেল পরিকল্পনা করে যে নিয়মবিধি তৈরি করেছে তা যাত্রীদের মানতেই হবে।