বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘দুর্নীতি হলে প্রতিরোধ করবই।’
এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘আদালত তো নিয়োগ দিতেই চায়। ওরাই তো নানা রকম ভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ওদের মূল লক্ষ্য বেআইনিভাবে নিযুক্তদের চাকরি বহাল রাখা। যা আমরা হতে দেব না। দুর্নীতি হলে আমরা বাধা দেবই’।
নাম না করে বিচারপতিকে উদ্দেশ করে অভিষেকের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় বিকাশবাবু বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা ও বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওর একটু পড়াশুনো করা উচিত। লোকের কথায় প্ররোচিত হয়ে এসব বলে নিজের ভবিষ্যৎ উনি নিজেই অন্ধকার করছেন’।
রবিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিলজলায় দলের নতুন পার্টি অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অভিষেক। তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মিডিয়ার আলোয় আলোকিত হয়ে তার বাইরে বেরোতে পারছেন না। রোজ খবর হওয়া যদি কারও লক্ষ্য হয় তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের বলব আপনারা সত্যের সঙ্গে থাকুন। সরকার চায় আপনাদের চাকরি হোক। ’
আন্দোলনকারীদের আইনজীবীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘সিপিএমের কিছু আইনজীবী ও বিচারব্যবস্থার কেউ কেউ চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করছেন। নিজেকে লারজার দ্যান লাইফ প্রমাণ করতে চায় তারা। এভাবে কোনওদিন সুবিচার পাওয়া যাবে না। বিচার ব্যবস্থা ভারসাম্য রেখে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করুক।’
অভিষেকের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, যোগ্যদের চাকরি দিতে চাইলে অযোগ্যদের বহাল রাখার আবেদন কেন আদালতে করেছিল SSC? কেন সেই আবেদন অন্য কেউ SSC-কে দিয়ে করিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?