বিধাননগরের পর এবার মধ্য কলকাতার মুরলিধর সেন স্ট্রিটে বিজেপির আদি রাজ্য দফতরের সামনে দলীয় কর্মীদের তুমুল বিক্ষোভ। দলের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সহ একাধিক নেতার ছবিতে জুতোপেটা করলেন বীরভূম থেকে আসা নেতাকর্মীরা। এমনকী মাটিতে নেতাদের ছবি ফেলে লাথিও মারতে দেখা যায় তাঁদের। এই ছবি দলের পক্ষে অস্বস্তিকর বলে মেনে নিয়েছেন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন দুপুরে মুরলিধর সেন স্ট্রিটে জড়ো হন বীরভূমের বিজেপি নেতা কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ নামে একটি সংঠনের আহ্বায়ক সামসুর রহমান। সঙ্গে ছিল দলের নেতাদের পোস্টার। সুকান্ত মজুমদারের ছবির নীচে লেখা ছিল ‘কাঠের পুতুল সুকান্ত মজুমদার Go Back’, সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তীর নামের নীচে লেখা ছিল দালাল। দলীয় নেতাদের ছবিতে জুতো মারতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। এমনকী লাথি মারতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা প্রত্যেকেই দিলীপ ঘোষের জমানায় দলের কোনও না কোনও পদে ছিলেন।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বীরভূমে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে কয়লা পাচারের টাকার ভাগ নিচ্ছে জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তাঁর মাথায় অমিতাভ চক্রবর্তীর হাত রয়েছে বলে কেউ কিছু করছে না। সেই টাকার ভাগ রাজ্য ভবনেও আসছে।’
প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বিক্ষোভের পর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে বিক্ষোভকারীদের সনাক্ত করে পদক্ষেপ করা হবে। সেক্ষেত্রে বহিষ্কারও করা হতে পারে তাদের।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও উলটো কথা বলেন। তিনি জানান, ‘দলীয় দফতরের সামনে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এটা নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর। আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’