তাপস পালের মৃত্যুতে নাম না করে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওদিকে তৃণমূলের দাবি, তাপসের মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের বদলার নীতি। মৃত্যুতেও থামল না রাজ্য রাজনীতির দড়িটানাটানি খেলা।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘তাপস পাল অসময়ে চলে গেলেন। ওকে দেখে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারা রাজনীতি করছে। কারা ভাল মানুষকে খারাপ করছে, বোঝা দরকার।’ নাম না করলেও স্পষ্ট, দিলীপবাবুর ইঙ্গিত তৃণমূলের দিকে।
এদিন সকালে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তাপস পাল আলিপুরের বিধায়ক ছিলেন। ওর পর ওই কেন্দ্রে আমিও বিধায়ক হয়েছি। কিন্তু উনি কেন্দ্রীয় সরকারের বদলার নীতি নিতে পারলেন না। আজ উনি নেই। ওর আত্মা শান্তি পাক।’
রোজভ্যালিকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাপস পালকে গ্রেফতার করে CBI. এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। তাপসের গ্রেফতারিতে তৃণমূলের তরফে তেমন কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের। ভুবনেশ্বরে টানা ১৩ মাস বন্দি ছিলেন তিনি এর মধ্যে ১১ মাস ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তাপস পাল। ভেঙে যায় তাঁর স্বাস্থ্য। এর পর নানা উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। স্নায়ুর অসুখে ভুগতে শুরু করেন তিনি। সেই রোগভোগেই মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হল তাঁর। অপূর্ণই রয়ে গেল ফের তাঁর পর্দায় ফেরার ইচ্ছা।