গতকাল দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছেন বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। এনডিএ প্রার্থীর বিরুদ্ধে যশবন্তকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই অবশ্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর কটাক্ষ, ‘মমতা নিজের সাংসদদের উপরেই রাশ টানতে পারছেন না।’
টুইটারে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূলের একজন বিধায়ক এবং দুইজন সাংসদ ক্রস ভোট দিয়েছেন। দু'জন টিএমসি সংসদ এবং ৪ জন বিধায়কের ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের সাংসদদের উপরেই রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের ভয় দেখানো সত্ত্বেও তারা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেখা যায় বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন যশবন্ত সিনহা। তাঁকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর পরে সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে। তারপরে বিরোধীদের ঐক্যে ফাটল দেখা দেয়। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, আগে জানলে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার কথা ভাবতেন। তবে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। অন্যদিকে শিব সেনা প্রথম দিকে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করলেও পরে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা করে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানায়।
এদিকে, দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানাই। সংবিধানের আদর্শ রক্ষা করার জন্য এবং গণতন্ত্রের রক্ষক হওয়ার জন্য দেশ আন্তরিকভাবে আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখবে। দেশের গণতন্ত্র সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে। এখন আপনার উপরে মানুষের আশা রয়েছে।’